লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় অপহরণের দু'বছর পর শিশু উদ্ধার

লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় অপহরণের দু'বছর পর শিশু উদ্ধার

লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় রুবিয়া খাতুন (১৪) নামের এক কাজের মেয়ে অপহরণের দু'বছর পর উদ্ধার হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে পারুলিয়া তিস্তা খেয়াঘাট পারাপারের সময় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ রুবিয়াকে আটক করে হাতিবান্ধা থানায় সোপর্দ করেন। পুলিশ উদ্ধারকৃত ওই মেয়েটিকে নিরাপদ হেফাজতের জন্য বিকেলে আদালতে প্রেরণ করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রুবিয়া খাতুন হাতিবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি গ্রামের সাবেক কর পরিদর্শক সাদেকুল ইসলামের নারায়ণগঞ্জের ধোপাপট্টি বাসা থেকে ২০০৯ সালে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান না পাওয়ায় সাদেকুল ইসলাম পশ্চিম হলদীবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রুবিয়ার পিতা রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনায় পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর তার মেয়েকে অপহরণের দায়ে হাতীবান্ধা থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাদেকুল ইসলাম ও তার ছেলে ১২ দিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। গতকাল রোববার সকালে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি পারুলিয়া তিস্তা নদীর ঘাটে রুবিয়াকে দেখতে পেয়ে চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান সফিয়ার রহমান গ্রাম পুলিশসহ খেয়াঘাটে গিয়ে রুবিয়াকে শনাক্ত করে হাতিবান্ধা থানায় সোপর্দ করেন। এ বিষয়ে হাতিবান্ধা থানা ডিউটি অফিসার এসআই জহুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, রুবিয়াকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী ও নিরাপদ হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাবেক কর পরিদর্শক সাদেকুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে তার বাসা থেকে রুবিয়া নিখোঁজ হলে বিভিন্ন জায়গায় খুঁেজ না পেয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্যা থানায় ০৪/০৯/২০০৯ তারিখে একটি সাধারণ ডায়রী করেন। এরপরও মিথ্যা মামলায় তার ছেলেসহ ১২ দিন হাজতবাস করেছেন তিনি। এ ঘটনায় প্রকৃত অপহরণকারীকে খুঁজে বের করে ন্যায় বিচারের দাবি জানান সাবেক ওই কর পরিদর্শক।
এদিকে অপহরণের দু'বছর পর রুবিয়ার উদ্ধার হওয়ার খবরে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। রুবিয়ার হতদরিদ্র পিতা রফিকুল জানান, তাদের ধারণা ছিল হয়তো রুবিয়া বেঁচে নেই। কিন্তু সে ফিরে আসায় তার আনন্দের শেষ নেই। তিনিও প্রকৃত রহস্য উদঘাটন পূর্বক অপরাধীর শাস্তি দাবি করেন।